এইমসের সর্বভারতীয় নার্সিং নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ, নার্সিং পরীক্ষায় প্রভাব।

দিল্লির এইমস কর্তৃক পরিচালিত নার্সিং অফিসার নিয়োগ কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট (নরসেট) ফের আরেকবার প্রশ্নপত্র জালিয়াতির দায়ে পড়ল। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI) এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড নবনীতকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। AIIMS NORCET-4 এর প্রিলিমসের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার এখনো পর্যন্ত তদন্ত চলছে, কিছু প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষায় এরকম প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। অনুরূপ এইবার দিল্লির এইমস কর্তৃক পরিচালিত নার্সিং অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ আনে অংশগ্রহণকারী চাকরি প্রার্থীরা। প্রশ্নপত্র ফাঁসের পরপরই নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি এইমসের পরিচালক ডঃ এম শ্রীনিবাসকে চিঠির মাধ্যমে এই পরীক্ষার বিভিন্ন অনিয়ম সংক্রান্ত ব্যাপার গুলোকে তুলে ধরেছেন, যার ফলে এইমসের পরিচালক অনেকটাই উদ্বিগ্নতার মধ্যে রয়েছেন।

নার্সিং অফিসার নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, পরীক্ষা শেষের পর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নার্সিং অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত হুবহু একই প্রশ্ন দেখতে পাওয়া যায়। অর্ধেকের বেশি প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রশ্নপত্রের সাথে নার্সিং অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হুবহু এক। যদিও এইমসের পরিচালক জানিয়েছেন, এমন কোন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই। কারণ এই যে কঠোর নীতি আদর্শ রয়েছে, সেই নীতি অনুযায়ী পরীক্ষার কোন প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মাধ্যমে আগে থেকে দেওয়া হয়নি।

এই ঘটনা ২০২৩ সালের এইমসের নার্সিং অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়। ২০২৫ এর এইমসের নার্সিং অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করেছে ইতিমধ্যে। এছাড়াও কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

আরোও পড়ুন:- Udyam সার্টিফিকেট কি? এর সুবিধা এবং আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত

শুধু প্রশ্ন পত্র ফাঁসের অভিযোগই নয়, বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের প্রার্থীরা এই পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছেন। জানা যাচ্ছে, জম্মুতে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে অনেক ঘন্টা পর্যন্ত পরীক্ষা শুরুই হয়নি। এরপরে অনেক অংশগ্রহণকারী চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিল। এছাড়াও সিস্টেম ক্রাশ এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনার কথা ও জানিয়েছেন অনেক পরীক্ষা প্রার্থী।

নরসেট পরীক্ষা দেশের মধ্যে একটি অন্যতম বৃহৎ আকারের পরীক্ষা, কারণ এই পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে নার্সিং অফিসার নিয়োগ করা হয়। পরপর তিন বছরের পরীক্ষার মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতন এই পরীক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটায় চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে মনোবল ভেঙে গিয়েছে। প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থী একটি স্বচ্ছ তদন্ত প্রক্রিয়ার আশা করছেন, যাতে এর পরবর্তী সময়ে নরসেটের মতন এত বড় পরীক্ষায় কোন দুর্নীতি বা জালিয়াতির মতন ঘটনা না ঘটে। এছাড়াও নার্সিং যৌথ কমিটি এম কে জালিয়াতি সংক্রান্ত ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

Join Group Join Group