E-পাসপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ কেন? এই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন না করলে আপনি কোন অসুবিধায় পড়বেন? অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন পদ্ধতি জানুন

সম্প্রতি সারা রাজ্য জুড়ে এনআরসি এবং এসআইআর নিয়ে তুমুল হইচই পড়েছে। যেহেতু ২০২৬-এর রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন, তাই তড়িঘড়ি ইলেকশন কমিশনের তরফ থেকে NRC এবং SIR নিয়ে সর্বত্র কড়াকড়ি চলছে। ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য NRC প্রক্রিয়া চালনা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে বৈধ নাগরিকত্ব যাদের রয়েছে তাদের বাদ দিয়ে অবৈধ নাগরিকদের বিতাড়িত করার পদ্ধতি। আর এই এনআরসি প্রক্রিয়াকে সঠিকভাবে চালনা করার জন্য ইলেকশন কমিশন ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন পদ্ধতি শুরু করেছেন। এর ফলে অনেক ব্যক্তি কিছুটা ভীত সন্তুষ্ট হয়ে রয়েছেন। নিজেদেরকে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য NRC সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করছেন। এসআইআর এবং এনআরসি যেকোনো ব্যাপারে আপনি যদি ই-পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে পারেন, তাহলে ১০০% আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন। নতুন করে ই পাসপোর্ট আবেদন এখন খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে খুব অল্প সময়ে আপনি এই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার ডিজিটাল মাধ্যমে হয়ে আসছে। ই-পাসপোর্টও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। এন্ড্রয়েড ফোন কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে আপনি কয়েক মিনিটের মধ্যে ই-পাসপোর্ট তৈরি করে ফেলতে পারবেন। জেনে নেওয়া যাক ই-পাসপোর্ট কি?

ই-পাসপোর্ট হল একটি মাইক্রোচিপ দ্বারা সজ্জিত পাসপোর্ট, যার মধ্যে ব্যক্তির বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন- চোখের মনি, আঙ্গুলের ছাপ, ছবি ও অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য ইনপুট করা থাকে। আন্তর্জাতিক লেভেলে এই ই পাসপোর্ট খুবই স্বীকৃতি পেয়েছে। স্ক্যানারের মাধ্যমে যেকোনো মুহূর্তে এখান থেকে তথ্য দেখতে পাওয়া যাবে।

আরোও পড়ুন:- RRB গ্রুপ ডি ২০২৫ আবেদনের স্ট্যাটাস ওয়েবসাইটে প্রকাশিত, আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করুন এই পদ্ধতিতে!

ই- পাসপোর্ট এর সুবিধাগুলো কি কি?


সাধারণ পাসপোর্ট এর তুলনায় ই-পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, সেই সাথে জালিয়াতি প্রতিরোধ করে। দুর্নীতিমুক্ত হয়ে থাকে এই পাসপোর্ট তার জন্য অনেক ব্যক্তি জাল পাসপোর্ট তৈরি থেকে বিরত থাকে।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য এই পাসপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। এরপরে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ অনেক সহজ হয়ে যাবে।

কিভাবে আবেদন করবেন :-


১) ই পাসপোর্ট আবেদন করতে হলে আপনাকে যেতে হবে পাসপোর্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট paspport seva portal website প্রবেশ করতে হবে।

২) আপনি যদি নতুন ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে আগে। আর যদি আপনি আগে থেকেই রেজিস্টার্ড করে রাখেন তাহলে পাসওয়ার্ড এবং ইউজার আইডি দিয়ে লগইন করতে হবে।
৩) এরপর হোম পেজে থাকা apply for new passport/ re issue passport অপশন মধ্যে যে কোন একটি অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৪) এরপর আবেদন পত্রে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ইনপুট করতে হবে।
৫) এরপর আপনার নিকটবর্তী পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র বা পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র নির্বাচন করুন।
৬) এবার আবেদনমূল্য জমা দিতে হবে। আমাদের মনে জমা দেওয়া যাবে নেট ব্যাঙ্কিং, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড এবং ইউপিআই মাধ্যমে।
৭) এরপর আপনাকে এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য নির্দিষ্ট সময় এবং তারিখ বুক করতে হবে। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র বা পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে গিয়ে নির্দিষ্ট বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হবে।

কোন কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে :-


১) পরিচয় পত্র প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ড,ভোটার কার্ড
২) ঠিকানার প্রমাণ
৩) পাসপোর্ট সাইজ ফটো
৪) পুরনো পাসপোর্ট থাকলে সেটি নিয়ে যেতে হবে
৫) এপ্লিকেশন রশিদ
৬) জন্ম সনদ

আবেদন মূল্য :- এ পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হলে নরমাল পদ্ধতিতে করলে খরচ পড়বে ১৫০০ টাকা। তৎকালীন অর্থাৎ আপনার দ্রুত আবেদনের প্রয়োজন হলে দরকার পড়বে ৩৫০০ টাকা।

ইতিমধ্যে ই পাসপোর্ট আবেদন পদ্ধতি কলকাতা, মুম্বাই চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও দিল্লি এসব জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে। আস্তে আস্তে সর্বত্র অনলাইন মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট চালু হয়ে যাবে।

ই পাসপোর্ট হল ডিজিটাল আপগ্রেড ভার্সন, বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিস গুলোতে উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে মানুষের সেবা কে আর উন্নত করার জন্যই এবং সহজ করার জন্যই এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ আরো অনেক সহজ হয়ে উঠবে। বিদেশি সফরের ক্ষেত্রে ভিসা অন অ্যারিভাল পেতে সুবিধা হবে। জালিয়াতি প্রতিরোধ করা যাবে। দুর্নীতির প্রভাব কমবে। বলা যায় ইন্ডিয়া মিশন অনেক শক্তিশালী হবে ই-পাসপোর্ট পদ্ধতি শুরু হওয়ার মাধ্যমে। এবং আগামীতে ই-পাসপোর্ট একটি বাধ্যতামূলক নথি হিসেবে পরিগণিত হতে চলেছে।

Join Group Join Group