প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মান নিধি ২১ তম কিস্তির টাকা কবে ঢুকবে? জেনে নিন বিস্তারিত।

কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি, এই প্রকল্পের ২১ তম কিস্তির টাকা কবে পাবেন কৃষকরা সেই নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সুখবর দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের ২১ তম কিস্তির টাকা দেওয়ার সময় ঘোষণা করলেন। আমাদের দেশে যে সমস্ত কৃষকরা রয়েছেন যারা প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত সুখবর। প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের একটি নতুন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। এতদিন পর্যন্ত প্রত্যেক কিস্তিতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০০ টাকা অনুদান পাঠানো হতো কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে। কিন্তু এইবার কৃষকদের একাউন্টে সম্পূর্ণ ৪০০০ টাকা পাঠানো হবে। অর্থাৎ এইবার দেশের কৃষকরা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দ্বিগুণ অর্থ পেতে চলেছে। আপনি যদি এই দুজনার একজন সুবিধাভোগী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এতদিনের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে ২১তম কিস্তির টাকা কবে দেওয়া হবে সে তারিখ ঘোষণা করে দিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় সরকার দেশের কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন ২০১৮ সালে। দেশের কৃষকদের আর্থিক সহায়তা করার লক্ষ্যেই এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছরের ৬০০০ টাকা দেওয়া হয় দেশে কৃষকদের। অর্থাৎ তিনটি কিস্তিতে ২০০০ টাকা করে মোট ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয় বছরে। কিন্তু এই বছর অর্থাৎ 2020 সালে অক্টোবরে একসঙ্গে ৪ হাজার টাকা কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হবে এমনটাই সরকার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার। অনেকদিন ধরেই দেশের কৃষকরা অপেক্ষা করেছিলেন এই প্রকল্পে ২১ তম কিস্তির জন্য। এতদিনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে এবং এই হাসি আরো চওড়া হয়েছে দ্বিগুণ অর্থ ব্যাংক একাউন্টে ঢোকার খবরে।

এই প্রকল্পের ২১তম কিস্তির টাকা কবে ঢুকতে চলেছে

প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে একটি ঘোষণা করেছেন এবং সেখানে প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার ২১ তম কিস্তির টাকা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পেয়ে যাবেন দেশের কৃষকরা। এবং সরাসরি কৃষকদের ব্যাংক কাউন্টের দ্বিগুণ অর্থ অর্থাৎ চার হাজার টাকা দেওয়া হবে এই মাসে।

আরোও পড়ুন:- কৃষকদের ফসল বাঁচানোয় সাতরঙা রামধনুর ভূমিকা, এমন বিরলতম দৃশ্য কোথায়। 

এই মাসে হঠাৎ কেন দ্বিগুণ টাকা পাঠানো হচ্ছে:-
কেন্দ্রীয় সরকার তার ঘোষণার সময় জানিয়েছেন, এর আগের কিস্তির টাকা বেশিরভাগ কৃষকের ব্যাংক একাউন্টে বিভিন্ন টেকনিক্যাল প্রবলেমের জন্য পৌঁছয়নি। এইজন্য সে সমস্ত কৃষকদের ২১তম কিস্তির টাকার সাথে আগের কিস্তির টাকা যোগ করে একত্রে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বকেয়া কিস্তি টাকা এবং ২১তম কিস্তির টাকা একত্রে পেতে চলেছে এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা।

কারা উপকৃত হতে চলেছে


যে সমস্ত কৃষকরা ইতিমধ্যে ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করেছেন এবং জমির রেকর্ড যাচাই করিয়েছেন একমাত্র তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২১তম কিস্তির টাকা ঢুকবে। আপনি যদি এটি এখনো না করেই থাকে তাহলে কিন্তু আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আপনি টাকা পাবেন না। টাকা পাওয়ার জন্য দ্রুত আপনার ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করুন।

আপনার নাম তালিকায় রয়েছে কিনা দেখবেন কি করে


২১তম কিস্তির টাকা পাওয়ার তালিকায় আপনার নাম রয়েছে কিনা সেটি দেখার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম অফিসিয়াল প্রধানমন্ত্রী কিষাণ ওয়েবসাইট, pmkisan.gov.in এটাতে প্রবেশ করতে হবে। এরপর হোমপেজে এসে “বেনিফিসিয়ারি লিস্ট” অপশনে ক্লিক করতে হবে। এর পরবর্তী ধাপে আপনার রাজ্য, জেলা, ব্লক এবং গ্রাম নির্বাচন করতে হবে। তাহলেই ২১ তম কিস্তির টাকার তালিকা দেখা যাবে। যদি এই তালিকা আপনার নাম থাকে তাহলে আপনি ব্যাংক একাউন্টে ৪০০০ টাকা পেয়ে যাবেন।

তালিকায় আপনার নাম না থাকলে কি করবেন:-
অনেক সময় টেকনিক্যাল ত্রুটি বা আপনার নথিপত্রের ত্রুটির জন্য তালিকায় নাম থাকে না। কিন্তু এর জন্য আপনাকে কোনরকম চিন্তা করতে হবে না। আপনি যদি এরকম কোন সমস্যার মধ্যে পড়েন তাহলে দ্রুত আপনার নিকটতম CSC কেন্দ্রে গিয়ে আপনার নথি আপডেট করুন। এছাড়া আপনি অনলাইন মাধ্যমে আপনার তথ্য আপডেট করতে পারেন। এই তথ্য আপডেট করার পরই তালিকার নাম আপনার চলে আসবে। নথি আপডেট করার পর আরেকবার উপরে বর্ণিত পদ্ধতি অ্যাপ্লাই করে তালিকাটি পুনর্বার দেখবেন।

আপনি যদি একজন কৃষক হয়ে থাকেন এবং এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হয়ে থাকেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার ২১ তম কিস্তির টাকা এই বছরের রবি শস্য ফলানোর ক্ষেত্রে অনেকটাই কাজে দেবে। আগের কিস্তির টাকা বকেয়া থাকায় কৃষকরা অনেক চিন্তার মধ্যে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মানীত যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য দ্বিগুণ টাকা পাঠানোর মাধ্যমে অনেকে আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে, যার মাধ্যমে উপকৃত হবে দেশের কয়েক হাজার কৃষক।

Join Group Join Group