বর্তমানে AI অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে অফিসিয়াল ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে এমন অনেক অফিস রয়েছে যেখান থেকে কর্মী ছাটাই করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজকর্মের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আরো বেশি করে প্রয়োগ করার। এর ফলে কাজ যেমন অনেক ত্বরান্বিত হয়েছে এছাড়াও কাজের ভুলভ্রান্তি অনেকটাই কম হচ্ছে। মানুষ নির্ভর কাজের থেকে যন্ত্র নির্ভর কাজের দিকে মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্র সরকার এইবার শিক্ষাক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আনতে চলেছেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) আগামী বছরই দেশের স্কুলগুলোতে পাঠ্যক্রমের অংশ হতে চলেছে। ২০২৬ থেকে ২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে তৃতীয় শ্রেণী থেকেই শুরু হয়ে যাবে এই AI কে একটি বিষয় হিসাবে মান্যতা দেওয়া। শিক্ষা মন্ত্রকে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখন থেকে স্কুল শিক্ষায় এআইকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিশেষ কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। যাতে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়ই এই প্রযুক্তিকে নির্ভর করে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। স্কুল কলেজ লাইফ পেরিয়ে যখন কর্ম ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা যাবে তখন যাতে কোনো রকম সমস্যার মধ্যে না পড়তে হয় তাই আগের থেকেই স্কুলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে একটি বিষয় হিসেবে পরিগণিত করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের লক্ষ্য, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে সমস্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তির সাথে সাথে সম্পন্ন মানেই নিতে পারে সেই অভ্যাস গড়ে তোলা। সারাদেশে এক কোটিরও বেশি শিক্ষকের কাছে এই সম্পর্কিত শিক্ষা প্রদান করে প্রশিক্ষিত করার চ্যালেঞ্জ নেওয়া হয়েছে।
আরোও পড়ুন:- Railway new rules: টিকিট কাটার পরেও যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন যাত্রীরা। জানুন বিস্তারিত।
গত শনিবার এ বিষয়ে নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর বেশ করে আগামী পাঁচ বছরে দেশের ৪০ লক্ষ কর্মসংস্থান হতে চলেছে। এইজন্য এই প্রজন্মকে যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা দান না করা হয় তাহলে তারা ভবিষ্যতে গিয়ে অথৈ জলে পড়বে। নতুন প্রযুক্তির সম্পর্কে ধারণা না থাকলে তারা সেই কর্মক্ষেত্রে গিয়ে টিকে থাকতে পারবেনা। এইজন্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সিলেবাসের অংশ করে নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই লক্ষ্যেই একেবারে বুনিয়াদি স্তর থেকে পড়ুয়াদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে সচেষ্ট হয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, “আগামীদিনে মানবসভ্যতার সব থেকে বড় সম্পদ হতে চলেছে এআই। এইজন্য বুড়োদের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ধারণা প্রাথমিকভাবে তৈরি করার জন্য স্কুলের তর থেকেই হাতেখড়ি দেওয়া উচিত এই বিষয়ে। ২০২৭ শিক্ষাবর্ষ আসতে এখনো কিছুটা দেরি রয়েছে, তা সত্ত্বেও কেন্দ্র শিক্ষা মন্ত্রক এখন থেকেই এই বিষয়ে পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
বর্তমানে সমস্ত কিছুই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর নির্ভর করে করা হচ্ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে স্কুল স্তরে পড়ুয়াদেরমধ্যে এই বিষয়ে অন্তত প্রাথমিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। এইজন্যই আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের স্কুল গুলোতে তৃতীয় শ্রেণী থেকেই নতুন একটি সাবজেক্ট যুক্ত হতে চলেছে, যার মাধ্যমে পড়ুয়াদের মধ্যে AI সম্পর্কে জ্ঞানের ভান্ডার একটু একটু করে বেড়ে উঠবে, যা সেই পড়ুয়াকে ভবিষ্যতের জন্য অনেকটাই এগিয়ে রাখবে।