ই-শ্রম কার্ড ২০২৫- আর্থিক সুবিধা পেতে চলেছে লক্ষ লক্ষ ভারতীয়।

দেশবাসীর কাছে একটি সুসংবাদ নিয়ে এল কেন্দ্র সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার আবারও আর্থিক সুবিধার প্রকল্প নিয়ে এল। কেন্দ্র সরকার প্রদত্ত ই – শ্রম কার্ডের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা পেতে চলেছেন দেশবাসী। দেশের গরীব ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর শ্রমজীবী মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছেন।

দেশের একটা বিরাট অংশের মানুষ কৃষিকাজ, কারখানার শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসা অথবা কুটির শিল্পে কাজ করে অর্থ উপার্জন করেন। এই সমস্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমজীবী মানুষের কোন সামাজিক সুরক্ষা ও স্থায়ী আর্থিক ভরসা থাকেনা। বৃদ্ধ বয়সে তাদের জন্য পেনসন, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও বিমার কোন ব্যবস্থা থাকেনা। তাদের কথা চিন্তা করেই কেন্দ্র সরকার “ই – শ্রম কার্ড”  প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের দ্বারা অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমজীবী মানুষ সামাজিক সুরক্ষা ও নিজের একটি পরিচয় পত্র পাবেন।

ই -শ্রম কার্ড হল NDUW অর্থাৎ ন্যাশনাল ডেটাবেস অফ আনঅর্গানাইজড ওয়ার্কার্স – এর অংশ। এর মাধ্যমে দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের যুক্ত শ্রমজীবী মানুষের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই কার্ড ব্যবহারকারী মানুষজন কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন সুযোগ ও সুবিধা পাবেন। এই কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকরা একটি UAN অর্থাৎ ইউনিক ইউনিভার্সাল একাউন্ট নং পাবেন। এই নম্বর সারাদেশের জন্য গ্রাহ্যনীয়।

ই- শ্রম কার্ডের সুবিধা গুলি হল :- ৬০ বছর বয়সের পর কার্ড হোল্ডাররা প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। এই কার্ডের গ্রাহকরা প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা (PMSBY) প্রকল্পের অধীনে দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবার এককালীন ২ লাখ টাকা পাবেন এবং দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার কারণে আংশিক অক্ষমতার জন্য এককালীন ১ লাখ টাকা পাবেন। এই কার্ড গ্রহণকারীরা মহিলারা মাতৃত্বকালীন আর্থিক সুবিধা পাবেন। এই কার্ডের গ্রাহকরা কেন্দ্র সরকারের PMKISAN এবং আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সরাসরি সুবিধা পাবেন।

আরো ও পড়ুন:- কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার ইন্টার্নশিপ। প্রতি মাসে বৃত্তি পাচ্ছে পড়ুয়ারা।

এই ই- শ্রম কার্ডের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা :- আবেদনকারী অবশ্যই একজন ভারতীয় হবেন। আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮-৫৯ বছর হতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমজীবী মানুষ হতে হবে। যেমন – কৃষক, ক্ষেতমজুর, কারখানার শ্রমিক, পরিবহন কর্মী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বয়স অনুযায়ী প্রতিমাসে ৫৫ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত টাকা ঐ ই- শ্রম কার্ডের জমা করা আর্থিক সদিচ্ছা রাখতে হবে। ঐ সমপরিমাণ টাকা সরকার প্রতিমাসে জমা করবে।

এই কার্ডের পিছন সরকারের লক্ষ্য হল :- পিছিয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করা। দেশের সমস্ত নিচু তোলার শ্রমজীবী মানুষকে জাতীয় স্তরে একটি ছাতার তলায় নিয়ে আসা। অসংগঠিত ক্ষেত্রে যুক্ত শ্রমজীবী মানুষের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। বৃদ্ধ বয়সে অবসরকালীন সময় শ্রমজীবী মানুষের পেনসিন ও বীমা সুনিশ্চিত করা।

ই – শ্রম কার্ডে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলি হল :- আবেদনকারীর আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, মোবাইল নং, ব্যাংক একাউন্ট, প্যান কার্ড এবং পেশার প্রমাণপত্র 

এই ই – শ্রম কার্ড প্রকল্পে আবেদন করার পদ্ধতি হল :- আবেদন করা যাবে সম্পূর্ণ রূপে অনলাইন মাধ্যমে। ই- শ্রম কার্ডে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আধার কার্ড ও ফোন নং দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নং সংযুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক। রেজিস্ট্রেশানের পর নিজস্ব সঠিক তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে সব অরিজিনাল নথি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। সমস্ত প্রসেস পূর্ণ হওয়ার পর pdf আকারে ই – শ্রম কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। সমস্ত তথ্যের উপর নির্ভর করে কেন্দ্র সরকার ই – শ্রম কার্ডের অনুমোদন দেবে। এই ই – শ্রম কার্ড দেশের পিছিয়ে পড়া শ্রমজীবী মানুষের হাতিয়ার। এই ই – শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে অথবা এই সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে নিম্নলিখিত ওয়েবসাইটে নজর রাখুন –

 অফিশিয়াল ওয়েবসাইট:- এখানে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Join Group Join Group