অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন? জেনে নিন পদ্ধতি।

আপনার ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে আপনার গাড়ি একটি নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র থাকে, আপনার গাড়ি চালানোর দক্ষতা প্রকাশ পায়, এছাড়া দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বীমা সুবিধা পাওয়ার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি নথি। আপনি যদি বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি রাস্তায় চালান, তাহলে জরিমানা বা শাস্তি পাওয়া অপরিহার্য। ১৯৮৮ সালের মোটরযান আইন অনুসারে , ভারতীয় রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এতদিন পর্যন্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আঞ্চলিক পরিবহন অথরিটির কাছে যেতে হতো। কিন্তু এর জন্য অনেক রকম ঝামেলা পোহাতে হতো। বর্তমানে সমস্ত সরকারি পরিষেবা অনলাইন মাধ্যমে করা হয়, এতে যেমন কাজটি দ্রুততার সাথে করা যায়, অন্যদিকে অনেকটা সময় বাঁচে। বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে আপনি ঘরে বসেই মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে কয়েক মিনিটের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সারতে পারবেন। কিভাবে আপনি বাড়িতে বসেই অনলাইন মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন তার প্রতিটি পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো। আপনিও যদি ঝামেলা মুক্ত অনলাইন পদ্ধতিতে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

ভারতে ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকারভেদ :-
১. লার্নার্স লাইসেন্স :- লার্নার্স এই কথাটির মধ্য দিয়ে কোন কিছু শিক্ষার কথা বোঝা যাচ্ছে। অর্থাৎ যে সমস্ত ব্যক্তি প্রথম গাড়ি চালানো শিখছে, তাদের জন্য এই লার্নাস লাইসেন্স জন্য আবেদন করা দরকার। এটি ছয় মাসের জন্য বৈধ থাকে। এবং এটি একটি অস্থায়ী লাইসেন্স। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স আপডেট করতে হয়। প্রতিটি ব্যক্তির স্থায়ী লাইসেন্স পাওয়ার আগের ধাপ হলো লার্নস পারমিট এর জন্য আবেদন করা।

২) ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক যানবাহনের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স :- বাণিজ্যিক লাইসেন্সের ক্ষেত্রে আবেদনের বয়স ২১ বছর এবং ব্যক্তিগত লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে আবেদনের বয়স ১৮ বছর।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া :-
১) সর্বপ্রথম আবেদনকারীকে SARATHI ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২) এরপর আপনার রাজ্য নির্বাচন করতে হবে।
৩) ড্রাইভিং লাইসেন্সের অধীনে অনলাইন এপ্লিকেশনে ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনি নতুন লার্নার্স লাইসেন্স নাকি নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স কোনটির জন্য আবেদন করবেন সেটি সিলেক্ট করুন।
৪) এরপর যে সমস্ত বিবরণ চাওয়া হয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করুন।
৫) উল্লেখিত নথি গুলি স্ক্যান করে আপলোড করুন।
৬) এরপর আপনার নিকটতম RTO-তে একটি ড্রাইভিং পরীক্ষার স্লট বুক করুন এবং একটি সুবিধাজনক তারিখ এবং সময় সিলেক্ট করুন।
৭) সবশেষে অনলাইনে আবেদন ফি প্রদান করুন। ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন নম্বরটি প্রিন্ট করে নির্দিষ্ট পরীক্ষার দিন RTO-তে নিয়ে চলে যান।

আরোও পড়ুন:- RBI group B নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫, আবেদন প্রক্রিয়া সহ অন্যান্য তথ্য জানুন!

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি :-
ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের জন্য:-
১) গাড়ির নিবন্ধনের শংসাপত্র
২) অটো বীমা প্রমাণ
৩) কর পরিশোধের রশিদ
৪) মেডিকেল সার্টিফিকেট (যদি ৫০ বছরের বেশি বয়সী হন অথবা বাণিজ্যিক ডিএলের জন্য আবেদন করেন)
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য:
১) গাড়ি নিবন্ধন সনদপত্র
২) শিল্প সংক্রান্ত কাগজপত্র

ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে হয়ে যাওয়ার ফলে আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ এবং দ্রুততর হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, অনলাইন ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতিতে আবেদন করার জন্য আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় থাকছে। ভারতীয় রাস্তায় যানবাহন চালানোর জন্য ভারতীয় পরিবহন আইন অনুযায়ী একটি বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা অত্যন্ত বাধ্যতামূলক। এইজন্য রাস্তায় গাড়ি চালানোর আগে আপনি বাড়িতে বসেই খুব কম সময়ের মধ্যে অত্যন্ত সহজ পদ্ধতিতে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন উপরে বর্ণিত পদ্ধতি অবলম্বন করে।

Join Group Join Group