আয়কর রিটার্ন (ITR) হল একটি ফর্ম, যেটা প্রাথমিক পর্যায়ে ভারতের আয়কর বিভাগে আপনার আয় এবং প্রযোজ্য কর সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়। এটি একটি ফাইল হিসেবে ব্যবহৃত করা হয়। ভারতীয় আয়কর আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক ব্যক্তি এবং ব্যবসার আয় উপার্জনে আইটি রিটার্ন দাখিল করা উচিত। ২০২৪ থেকে ২০২৫ অর্থবর্ষে আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ বাড়ানো হয়েছে। ৩১ জুলাইয়ের পরিবর্তে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হলো। ৩০ শে জুলাই এর মধ্যে আইটিআর ফাইল জমা দিলে এই কম সময়সীমার মধ্যে করদাতাদের বিভিন্ন রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিভিন্ন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এবং পেশাদার সংস্থাগুলি ইতিমধ্যে বারবার আবেদন জানিয়েছে এই বিষয়ে। এরপরেই ২০২৫ এর মে মাস নাগাদ আইটিআর ফাইল দাখিলের মেয়াদ বৃদ্ধি ঘোষনা করা হয় আয়কর দপ্তরের তরফে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যেসব করদাতার একাউন্টের অডিট প্রয়োজন রয়েছে, তাদের আয়কর ফাইল ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যেই জমা দিতে হবে।
মেয়াদ বৃদ্ধির কারণ :-
১) অনেক করদাতা আয়কর ই-ফাইলিং পোর্টালে রিটার্ন আপলোড করার সময় পোর্টালের ত্রুটি, লগ ইন পিরিয়ড খুব ধীরগতিতে হওয়ার জন্য অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
২) বার্ষিক তথ্য বিবরণী (AIS) এবং ফর্ম 26AS-এর মধ্যে তথ্য অমিলের কারণে কর ক্রেডিট সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল।
৩) করদাতারা তাদের আইটিআর ফর্ম আপডেট করার অনেক পরে প্রকাশ করা হচ্ছিল। যার ফলে কার্যকর ফাইলিং সময়সীমা কম ছিল।
সর্বপ্রথম চণ্ডীগড় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ট্যাক্সেশন অ্যাসোসিয়েশন (CCATAX) এবং আরও অন্যান্য সংস্থা CBDT-কে এই অসুবিধাগুলো বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে আয়কর দপ্তর এ সমস্ত সমস্যা ও প্রতিকূলতাগুলোর পর্যবেক্ষণ করে পদক্ষেপ নেন। এরপরেই আয়কর ফাইল দাখিলের সময়সীমা ছয় সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
তবে আপনি যদি ১৫ই সেপ্টেম্বরের পরের এই বর্ধিত সময়সীমার মধ্যেও আইটিআর ফাইল দাখিল করতে না পারেন অর্থাৎ এই সময়সীমা মিস করেন তাহলে ধারা ২৩৪F এর আওতায় বিলম্ব ফি চার্জ নেওয়া হবে। এছাড়া ২৩৪এ, ২৩৪বি, ২৩৪ সি আওতায় অধিক সুদ দিতে হবে।
আয়কর রিটার্নের জন্য সময় বাড়ানোর ফলে করদাতাদের অনেক সুবিধা যেমন হবে, তেমন আয়কর দপ্তর থেকে এটাও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে করদাতাদের উদ্দেশ্যে, যে এই বর্ধিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন সুযোগ যদি হারানো হয় তাহলে পরবর্তী সময়ে আর মেয়াদ বৃদ্ধি করার কোনো সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে।
এইজন্য সময়মতো আপনার আইটিআর দাখিল করা উচিত, এটা যদি না করেন তাহলে আপনাকে জরিমানা, অপরিশোধিত করের উপর প্রযোজ্য সুদ এবং এমনকি আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে। এই সমস্যাগুলি থেকে সমাধানের জন্য সময়মতো আপনার রিটার্ন দাখিল করা অপরিহার্য।