স্নাতক স্তরে বিজ্ঞান শাখায় আবেদনের সংখ্যা বাড়লো, ভর্তির সময়সীমা বৃদ্ধি শিক্ষা দপ্তরের 

বর্তমানে জেনারেল শাখার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়-এর আসন সংখ্যা যেন ফাঁকাই পড়ে থাকে। বিগত তিন চার বছর ধরে বেশিরভাগ পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেই যেকোনো টেকনিক্যাল লাইনে চলে যাওয়ায় জেনারেল শাখার কলেজগুলোতে ভর্তির পরিমাণ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। আর এই জন্যই কলেজগুলোর অবস্থা “মাছি তাড়ানোর মতন”। জেনারেল লাইনে পড়াশোনা করে যেহেতু বর্তমানে তেমন কোন কর্মসংস্থানের আশা থাকে না, তার জন্যই টেকনিক্যাল লাইনে পড়াশোনা করার ঝোঁক বৃদ্ধি পেয়েছে পড়ুয়াদের। টেকনিক্যাল লাইন নিয়ে পড়াশোনা করলে চাকরির সুযোগ অনেকটাই বেশি, যেখানে জেনারেল লাইন নিয়ে পড়াশোনা করে স্নাতক উত্তীর্ণ ছেলে মেয়েরা বাড়িতেই বসে রয়েছেন। এইজন্যই বিগত তিন চার বছর ধরে রাজ্যের কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। যে আসন সংখ্যা বরাদ্দ থাকে একেকটি শাখার জন্য, তার অর্ধেক প্রত্যেক বছরই ফাঁকা পড়ে থাকছে। তবে এই বছর বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তির আবেদন কিছুটা আশা দেখালো রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। 

জানা যাচ্ছে, এখনো পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে ২ লক্ষ 28 হাজার 772 জন। ২৫ শে আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত রাজ্যের কলেজগুলোতে ভর্তি হয়েছে ২ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি পড়ুয়া। জানা যাচ্ছে, বিজ্ঞান শাখায় সব থেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। 

অন্যদিকে, শুক্র ও শনিবার অনলাইন মাধ্যমে আবেদনের জন্য যান্ত্রিক কিছু ত্রুটি দেখা গিয়েছিল, তার জন্যই অনেকের আবেদন করতে সমস্যা হচ্ছিল। এই জন্যই ভর্তির সময়সীমা আরেকদিন বাড়িয়ে দেওয়া হল। ২৬ শে আগস্ট রাত ১১ঃ৫৯ মিনিট পর্যন্ত স্নাতকের প্রথম দফায় ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। ইতিমধ্যে ৭৪,৮৯৫ জন কলেজে এসে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গিয়েছে। আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত এই ভেরিফিকেশন-এর কাজ চলবে। 

আরো ও খবর পড়ুন:- আধার সংযুক্ত সিমকার্ড থেকে হতে পারে বিপদ, কিভাবে বুঝবেন এই বিপদ সংকেত?

প্রথম পর্যায়ে ৪ লক্ষ ২ হাজার ৫৫৭ টি আসনের জন্য আবেদন করেছিলেন ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৬৮ জন পড়ুয়া। অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ের ভর্তি পর্বের শেষে দেখা গিয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৩৯৬ টি আসন তখনও ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তবে, বিগত বছরের তুলনায় এই বছর একটা ভালো দিক দেখা গিয়েছে। এক উচ্চশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক জানিয়েছেন, আগের বছরের তুলনায় বিজ্ঞান শাখায় আবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এই দিকটি এখনো পর্যন্ত আশার আলো দেখাচ্ছে। 

যদিও আগের বারের তুলনায় এই বছর বিজ্ঞান শাখায় আবেদন বেশি জমা পড়েছে, তবে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির হার যা রয়েছে তাতে কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ এই বছর ভর্তির আসন সংখ্যা অর্ধেক ভরবে কিনা এ বিষয়ে একটা সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। কারণ রাজ্যে সার্বিক ভাবে ৪৬০টি কলেজে আসন রয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার। আবেদন করেছেন মাত্র ৩ লক্ষ ৫৯ হাজারের কিছু বেশি পড়ুয়া। অর্থাৎ ৪৫ শতাংশ আসন এখনো ফাঁকা রয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় পড়ুয়া কমে যাওয়ার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছে।

Leave a Comment

Join Group Join Group