আধার কার্ড থাকলেই মিলবে লোন, লোনের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন? জেনে নিন বিস্তারিত।

আধার কার্ড শুধুমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি নয়, এটি আপনার আর্থিক সমস্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে। 

প্রত্যেকটি ব্যক্তি যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন, সেই উপার্জন অনেকসময় সকল প্রকার আর্থিক সমস্যার সমাধান করতে পারে না। অনেকসময় জরুরী পরিস্থিতিতে একসঙ্গে অনেক টাকার প্রয়োজন পড়ে যায়। একসঙ্গে অনেকগুলো টাকা ধার করতে গেলে কোন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করতে হয়। ব্যাংকে লোন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম শর্তাবলী দেওয়া হয়। এই শর্তাবলীগুলো পূরণ করে লোন নেওয়া অনেকটাই সময় সাপেক্ষ ও ঝক্কির ব্যাপার। যদি কোন ব্যক্তির পার্সোনাল কোনো কারণে খুব দ্রুত লোনের প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি শুধুমাত্র আধার কার্ড ইস্যু করে লোন নিতে পারবেন। জেনে নেওয়া যাক, আধার কার্ডের মাধ্যমে কিভাবে আপনি লোনের জন্য এপ্লাই করবেন? 

ব্যাংকে বা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত ঋণের জন্য আবেদন করতে হলে, কোনো ব্যক্তিকে বিভিন্ন রকম নথি জমা দিতে হয়। বর্তমানে আধার কার্ড এবং ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতিতে পার্সোনাল ঋণের জন্য আবেদন করা অনেক  সহজ হয়ে গিয়েছে। 

আধার কার্ডের মাধ্যমে লোন পেতে হলে আপনাকে অনলাইনে লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। আপনার আধার কার্ডের সাথে যদি আপনার PAN এবং আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে লিঙ্ক করা থাকে, তবে খুব সহজেই আপনি লোন পেতে পারবেন। আপনাকে অন্য কোনো নথি জমা করতে হবেনা। ব্যাংক আধিকারিকরা আপনার যোগ্যতা যাচাইকরণ করলেই আপনার অ্যাকাউন্টে লোন ট্রান্সফার করা হবে। 

আরোও পড়ুন:- পিভিসি আধার কার্ড কিভাবে তৈরি করবেন? পিভিসি আধার কার্ড না তৈরি করলে আসতে পারে বিভিন্ন সমস্যা জানুন বিস্তারিত!

আধারকার্ড লোনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র :- 

আধার কার্ড লোনের জন্য যে সমস্ত মুভি প্রয়োজন সেগুলি হল : 

আধার কার্ড

প্যান কার্ড

ঠিকানার প্রমাণ

পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স

আয়ের প্রমাণ – বেতন স্লিপ

আয়কর রিটার্ন এবং ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট। 

 আধারকার্ড লোন আবেদনের যোগ্যতার মানদণ্ড :- 

আধার কার্ডের মাধ্যমে ব্যক্তিগত লোন পেতে হলে যে যোগ্যতাগুলো থাকা দরকার সেগুলো হলো:

১) আপনাকে ভারতের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

২)আপনার বয়স ২৩ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

৩) আপনাকে অবশ্যই একটি পাবলিক/প্রাইভেট কোম্পানি বা একটি MNC এর সাথে কাজ করতে হবে।

৪) আধার কার্ডের সাথে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-এর লিংক করানো থাকতে হবে। 

আবেদন পদ্ধতি:- 

১)  ঋণদাতাকে সর্বপ্রথম ব্যাংকের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে ব্যাংক থেকে লোন নেবেন সেই ব্যাংকে ওয়েবসাইটে যেতে হবে। 

২) ঋণ পাওয়ার জন্য আপনাকে একটি আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। 

৩) এরপর আপনার নথি যাচাইয়ের জন্য আপনার আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং আয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে ব্যাংক আধিকারিকদের। OTP প্রমাণীকরণের জন্য আপনার আধার অবশ্যই আপনার মোবাইল নম্বরের সাথে লিঙ্ক করতে হবে।

৪) আপনার নথি জমা দেওয়ার পরে ঋণ অনুমোদন করা হবে।

ব্যক্তিগত ঋণ সুদের হার ক্রেডিট স্কোর, আয়, ক্রেডিট ইতিহাস এবং অন্যান্য কিছু জিনিসের উপর নির্ভর করে। বর্তমানে অনলাইনে আধারকার্ডের মাধ্যমে লোন নেওয়া অনেক সহজ সরল পদ্ধতি। আপনার ব্যক্তিগত দ্রুত টাকা প্রয়োজনের জন্য এই পদ্ধতিতে লোন নিন এবং এই লোনের ক্ষেত্রে সুদের হারও অনেকটাই কম থাকে, এছাড়া লোন পরিশোধের জন্য একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ সময় দেওয়া হয়, যেটি আপনাকে লোন পরিশোধ করতে অনেকটা সহায়তা করবে। এছাড়া আধার কার্ড লোন পাওয়ার জন্য অনেক রকম নথি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না এজন্য ঝামেলাও কম। 

আপনি যদি কোন লোন পাওয়ার জন্য কোন সংস্থানের খোঁজ করছেন, তাহলে আর দেরি না করে ব্যাংকের মাধ্যমে আধার কার্ড নথি দেখিয়ে ব্যক্তিগত লোনের জন্য এপ্লাই করতে পারেন। 

এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য চোখ রাখুন এই পেজে।

Leave a Comment

Join Group Join Group