প্রত্যেকটি ব্যক্তি বর্তমানে নিজস্ব গাড়ি বা বাইক, স্কুটি চালিয়ে থাকেন। নিজস্ব বাইক বা স্কুটি থাকলে যে কোন জায়গায় খুব সহজেই যাতায়াত করা যায়। কিন্তু যেভাবে নিত্য নৈমিত্তিক পেট্রোল ডিজেলের দাম তরতর করে বাড়ছে, তাতে মধ্যবিত্তদের পকেটের চাপ পড়তে বাধ্য। প্রত্যেকটি ব্যক্তি সকালের খবরের কাগজে একবার প্রথমেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত হলো তাতে চোখ বুলিয়ে নেয়। অফিসের কাজই হোক, বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া আসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দরকারে যাওয়া প্রতিটি পদক্ষেপে নির্ভর করতে হয় বাইক বা স্কুটি ওপর। বাইক বা স্কুটির চলমান শক্তি হল পেট্রোল ডিজেল বা সিএনজি। এইজন্য পেট্রোল-ডিজেলের দাম কতটা বাড়ল বা কমলো সেটা নিয়ে চিন্তায় থাকেন সাধারণ মানুষ।
যদিও গত কয়েক মাসে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। মহানগরীগুলোতে দাম একই রকম ছিল। দাম আগের মতনই রয়েছে। কোন দাম আগে তুলনায় বাড়েনি। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের এটা একটা স্বস্তির কারণ। দেখে নেওয়া যাক আজকে মহানগরের কোন কোন শহরে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত রয়েছে:-
দিল্লিতে, আজ পেট্রোল প্রতি লিটারে দাম রয়েছে ৯৪.৭৭ টাকা এবং ডিজেল প্রতি লিটারে ৮৭.৬৭ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
মুম্বাইতে, পেট্রোল প্রতি লিটারে ১০৩.৫০ টাকা এবং ডিজেল প্রতি লিটারে ₹৯০.০৩ পাওয়া যাচ্ছে।
আমরা সকলেই জানি পেট্রোল বা ডিজেলের দাম সকাল ছটার পরে চূড়ান্ত করা হয় এবং পেট্রোল-ডিজেলের দাম বারা বা কমান নির্ভর করে রাজ্য কর এবং পরিবহন চার্জের উপর।
আরোও পড়ুন:- বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি, দুর্যোগের পূর্বাভাস, এর মধ্যেই দীঘার সৈকতে উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়।
সিএনজির দাম :- সিএনজির দাম প্রতিনিয়তই উঠানামা করে। আজ দিল্লিতে প্রতি কেজি সিএনজির দাম ৭৬.০৯ টাকা। মুম্বাইতে প্রতি কেজি সিএনজির দাম ৭৭.০০ টাকা। উত্তর প্রদেশে প্রতি কেজি সিএনজির দাম প্রায় ৯০.১৬ টাকা। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ পেট্রোল ডিজেলের বদলে সিএনজির প্রতি বেশি নির্ভর করছেন তার কারণ এটি অনেক সস্তায় পাওয়া যায় তাই পেট্রোল-ডিজেলের বিকল্প হিসেবে সিএনজি মানুষের বেশি পছন্দের তালিকায় রয়েছে।
দাম বৃদ্ধি পেলে শুধুমাত্র গাড়ির চালকদের পকেটের চাপ বৃদ্ধি পায় তা নয়, অটো, টোটো, বাস ইত্যাদি যানবাহনের ভাড়াও বৃদ্ধি পায়। এরপরে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক চাপ এসে পড়ে। অর্থাৎ পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে তার প্রভাব এসে পড়ে।
পেট্রোল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য অনেক ব্যক্তি এখন ইলেকট্রিক্যাল স্কুটি ব্যবহারের দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রতিদিন পেট্রোল পাম্পে যাওয়ার আগেই গাড়ির চালকদের উদ্বিগ্ন বোধ করতে দেখা যায়। তবে যদি আপনি এর উদ্বিগ্ন বোধ কমাতে চান তাহলে আপনার যানবাহনকে নিয়মিত পরিষেবায় রাখুন, ইঞ্জিন পরিষ্কার রাখা, টায়ার চাপ এবং ফিল্টার রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত যাতে মাইলেজ বেশি উন্নত হয়। এছাড়া আপনি চাইলে পেট্রোল ডিজেলের বিকল্প হিসেবে সিএনজিকে নির্বাচন করতে পারেন। এর ফলে দাম অনেক সস্তা পড়বে। এছাড়া আপনি কাছাকাছি কোন জায়গায় যাওয়ার জন্য সাইকেল ব্যবহার করতে পারেন, তাতেও কিছুটা অর্থ সাশ্রয় হবে। এছাড়া যখন পেট্রোল ডিজেলের দাম কম থাকে তখন আপনি একসঙ্গে একটু বেশি করে ট্যাংক পূর্ণ করে নিতে পারেন, তাহলে দাম বৃদ্ধির সময় এটা অনেক কাজে দেবে। যদিও পেট্রোল বা ডিজেলের পণ্য ট্যাংক কিনতে গেলে প্রথমে অনেকটা ব্যয় সাপেক্ষ হবে, তবে দাম বৃদ্ধির সময় এটা আপনার অনেকটাই সাশ্রয় দেবে।