মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প “দুয়ারে রেশন “এই প্রকল্পে বাংলার প্রতিটি মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে মাসে মাসে রেশন। ২০১৩ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সরকার খাদ্য সুরক্ষা বিল পাশ করে। এই বিলেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের জন্য রেশন সরবরাহ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসে “খাদ্যসাথী” প্রকল্পের অধীনে দুই টাকা কেজি দরে রেশন দেওয়ার প্রকল্প শুরু করেন। কিন্তু করোনা মহামারীর সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য রাজ্য সরকার বিনামূল্যে রেশন দেওয়া শুরু করে। সেই সঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা মহামারীর সময় “গরীব কল্যাণ যোজনা” প্রকল্পের দ্বারা বিনামূল্যে রেশনের ঘোষণা করেন। সেই সময় থেকেই রাজ্যের মানুষ বিনামূল্যে রেশন পেয়ে আসছে।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কোন রেশন কার্ডে কত খাদ্যশস্য পাওয়া যায়-
১) AAY( অন্ত্যদয় অন্ন যোজনা):– এই কার্ডে গ্রাহকরা পরিবার পিছু প্রতি মাসে বিনামূল্যে ২১ কেজি চাল এবং ১৩ কেজি ৩০০ গ্রাম আটা অথবা ১৪ কেজি গম পাওয়া যায়। এর সাথেই ১৩ টাকা ৫০ পয়সা দরে প্রতি কেজি চিনি পাওয়া যায়।
২) SPHH (বিশেষ অগ্রাধিকারযুক্ত পরিবার):– এই কার্ডের গ্রাহকরা বিনামূল্যে মাথাপিছু ৩ কেজি চাল এবং ১ কেজি ৯০০ গ্রাম আটা অথবা ২ কেজি গম পান।
৩)PHH (অগ্রাধিকার যুক্ত পরিবার):– এই কার্ডের উপভক্তরা বিনামূল্যে মাথাপিছু ৩ কেজি চাল এবং ১ কেজি ৯০০ গ্রাম আটা অথবা ২ কেজি গম পাওয়া পান।
৪)RKSY – I :– এই রেশন কার্ডের গ্রাহকরা শুধুমাত্র চাল পান। এই গ্রাহকরা বিনামূল্যে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল পান।
৫)RKSY -II:– এই রেশন কার্ডের গ্রাহকরা সবচেয়ে কম সুবিধা পান। এই গ্রাহকরা শুধু চাল পান । এই গ্রাহকরা বিনামূল্যে মাথাপিছু ২ কেজি করে চাল পান।
আরোত্ত পড়ুন:- কেন্দ্র সরকারের সেরা তিনটি স্কলারশিপে উপকৃত হচ্ছেন দেশের লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী, দেখে নিন কারা এই স্কলারশিপের জন্য যোগ্য।
প্রতিমাসে খাদ্যশস্যের পরিণাম গ্রাহকদের SMS এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া, প্রতিটি কার্ডের বেনেফিটের পরিমাণ জানতে রাজ্য সরকারের PDS দপ্তরের ওয়েবসাইটে লক্ষ্য রাখুন।