১০ বছরেও চাকরি পাননি ১২৪১ জন, অবেশেষে ১০ বছরের প্রতীক্ষার অবসান! উচ্চ প্রাথমিকে দ্রুত নিয়োগের দাবি নিয়ে বড় আপডেট জানুন।

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারীদের। একাধিকবার নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন থেকে আদালত পর্যন্ত জল গড়িয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। অবশেষে ১০ বছর পরে চাকরি-প্রার্থীদের মুখে হাসি ফুটেছে। এতদিনের ধৈর্য এইবার স্বপ্ন সত্যির পথে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১৪০৫২ শূন্য পদের নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই দশ বছরের প্রায় আটবার কাউন্সিলিং এর পরেও এখনো নিয়োগপত্র পাননি ১২৪১ জন চাকরিপ্রার্থী।

তবে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এবার সেই ১২৪১ চাকরিপ্রার্থীকে কাউন্সিলিং এর জন্য ডাকা হবে এমনটাই জানা যাচ্ছে। উচ্চ প্রাথমিক স্তরে পড়ানোর জন্য এই নিয়োগ পত্র দেওয়া হবে। উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকায় যে প্রার্থীদের নাম রয়েছে তাদের কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে নিয়োগ পত্র প্রদান করা হবে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে শিক্ষা দপ্তরের সূত্র ধরে।

ইতিমধ্যে জেলা দপ্তরের কাছে শিক্ষা দপ্তরের জানতে চেয়ে পাঠিয়েছেন জেলার উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলোর শূন্যপদের তালিকা। কয়েকটি জেলার স্কুল পরিদর্শকেরাও তথ্য সংগ্রহ করে গিয়েছে ইতিমধ্যে। সব জেলার তথ্য পাওয়ার পর শিক্ষা দফতর এসএসসির কাছে এই তথ্য তুলে দেবে। এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশন অর্থাৎ এসএসসির পক্ষ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নিয়োগ পত্র দেওয়া হবে।

আরোও পড়ুন: আগামী সোমবার পরিষদের বৈঠকে পেনশনভোগীদের জন্য সুখবর, ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির সম্ভাবনা।

উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট উচ্চ প্রাথমিকের ১২৪১ জন চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ।
উচ্চ প্রাথমিক স্তরে অর্থাৎ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালে। কিন্তু দশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো অধরা রয়ে গিয়েছে, তবুও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়নি।
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মত ১৪০৫২ টি শূন্যপদে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এখনও ১২৪১ জন চাকরি প্রার্থীর নিয়োগ না হয়ে পড়ে রয়েছে। এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের ১০ বছর পরে ভাগ্যের চাকা ঘুরতে চলেছে।

জানা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই এই ১২৪১ জনপ্রার্থীর কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এসএসসিকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টকে।

গত ১০ বছর ধরে এই চাকরিপ্রার্থী রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন, শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অনেকের এই দশ বছরে অনেকটাই বয়স বেড়ে গিয়েছে। তাদের জীবনের অনেকগুলো বছর নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবু আশায় থেকেছেন এই দিনটির জন্য। অনেক চাকরি-প্রার্থীর মধ্যে অবসর এসে গিয়েছে। তবে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অবশেষে জয় হতে চলেছে। কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে মেধা তালিকা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী স্কুল নির্বাচন করতে পারবেন।

কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশে শুধুমাত্র চাকরি-প্রার্থীদের স্বপ্নে পূরণ হবে না, তাদের আন্দোলনের এতদিনের লড়াই জয় পেতে চলেছে। এমনকি রাজ্যের স্কুলগুলিও শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ হওয়ার ফলে প্রাণ ফিরে পাবে। এখন দেখা যাক, শিক্ষা দপ্তর কত তাড়াতাড়ি কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ করে, সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ না হওয়া চাকরিপ্রার্থীরা।

Join Group Join Group